বাঙলা নববর্ষের প্রতিক হিসেবে মঙ্গল শোভাযাত্রা করা হয় ঢাকায়। শোভাযাত্রায় নানান মুর্তি থাকে তাই অনেকে সমালোচনা ও বিরূপ মন্তব্য করেন। মুলতঃ শোভাযাত্রা নিয়ে করো প্রশ্ন নেই, প্রশ্ন শুধু মুর্তি নিয়ে। যে জনপথের অধিকাংশ মানুষ পৌত্তলিকতা বিরোধী, এক আল্লায় বিশ্বাসী। তাই তারা নিখাঁদ বাঙালী হয়েও মুর্তিযুক্ত এ শোভাযাত্রা কোনভাবে আপন করে নিতে পারেনা। কারণ এটি ইসলামিক বিধানে শিরক।

ঐতিহ্যবাহী “মাথাল” পরিহিত বাঙালী কৃষক

তবে মুর্তির পরিবর্তে এখানে সত্যিকারের বাঙালী সংস্কৃতি অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে, যেমন, গরুর গাড়ী, পালকী, নবাব, আলপনা, শাপলা, মৃৎশিল্প, কারুশিল্প: কুলা, খলই, ডালা, ছিক্কা, কোরা, জৌঙ্গর, কৃষকের টুপি (মাথাল) ইত্যাদি, মাটির কলসি, ধানের গৌলা, সিন্ধুক, ভেলা, সাঁকো, লাঙল, বাঙালী ঐতিহ্যবাহী খাবার: ইলিশ, নানা রকম ভর্তা, মুড়ি, মিস্টি, আঙুল গজা, চালভাঁজা, রকমারী পিঠা, আম, কাঁঠাল প্রভৃতি, কৃষানী, শাড়ী পরিহিত বাঙালী নারী, টুপি বা পৈতা পরা গ্রামীন বৃদ্ধ, নারীর চুলে খোঁপা ও বেনী, হাডুডু খেলা, ডাঙুলি, চড়ুইভাতি, কুঁতকুঁত খেলা, মেজবানী, বাঁশি, হাতপাখা, ঢেঁকি, গরু দিয়ে ধান মাড়ানো, কাস্তে, কুপি, হারিকেন, লাটিম, মোড়া, মাছ ধরার নানান পন্য: আনতা, জাল, পলো প্রভৃতি, পাটি, বেতের সোফা, নকশীকাঁথা, লুঙি, গামছা, রিকশা, গ্রামীন ঘর, গাঁয়ের চা দোকানের আড্ডা ইত্যাদি।

নোয়াখালীর ভাষায় ‘জোঙ্গর’