যে ব্যাক্তি কোন সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত সে হল সাম্প্রদায়িক। সে কোন ধর্মের হতে পারে, সে ধনিক শ্রেণীর হতে পারে, সে কোন বংশের হতে পারে, সাদা বর্ণের হতে পারে, সে কোন কমিউনিটির সদস্য হতে পারে, সে কোন দলের হতে পারে, তার মতদর্শও ভিন্ন হতে পারে। সুতরাং এদিক দিয়ে বিবেচনা করলে পৃথিবীর একটি মানুষও অসাম্প্রদায়িক নয়, এটি একটি খাঁটি অসত্য কথা। মানুষের মত সাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন পৃথিবীর কোন প্রানী নেই। তারা নিজ সম্প্রদায়ের সাথেও প্রতিযোগীতায় লিপ্ত হয় এবং একে অপরকে হিংসা করে। সে কিভাবে নিজেকে অসাম্প্রদায়িক বলবে, যার মাঝে তিল পরিমান হিংসা বিদ্যমান।

যে ব্যক্তি কোন কিছু নিয়ে কারো সাথে ভেদাভেদ করেনা, আপন মনে সবই গ্রহন করে তিনি হলেন অসাম্প্রদায়িক। সে মনেপ্রানে বিশ্বাস করে- আমরা সবাই মানুষ, এছাড়া অন্য কোন কিছুই বিবেচ্য নয়। একই রঙের রক্ত আমাদের সবার দেহে। যা ধর্ম, বর্ণ, দল, বংশ, ধনী-গরিব, অশিক্ষিত-শিক্ষিত, দৈহিক-বিকারগ্রস্থ, সোসাইটি বা ক্লাবের সদস্য হিসেবে বিভেদ হতে পারেনা। হিংসা তার মাঝে থাকবে অনুপস্থিত। উদারতায় হবে হৃদয় পরিপূর্ণ।

বাহ্যিকভাবে আমাদের অনেকেই অসাম্প্রদায়িক’ ভান করেন- সংখ্যালঘু ধর্মের প্রতি একাত্বতা প্রকাশ করে। অন্যদিকে নিজ সম্প্রদায়ের কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর প্রতি হিংসা ছড়ায়। সে কি অসাম্প্রদায়িক চেতনার’ তা প্রশ্নসাপেক্ষ। কারণ উদার ব্যক্তি সবার প্রতি উদার ও মানবিক হবে। তার মধ্যে কোন অস্বজনপ্রীতি থাকবেনা। সে হবে নম্র ও মাটির মানুষ। সে বিভেদের দৃষ্টিতে দেখবেনা কিছু, সবার সবকিছু সাদরে গ্রহন করবে। ভালবাসবে সবাইকে আকুন্ঠভাবে।