ক্ষোভ মানব চরিত্রের একটি খারাপ দিক। এটি পুষে রাখলে দিনে দিনে যার প্রতি ক্ষোভ, সে মানুষটির প্রতি তা ক্রমাম্নয়ে বেড়ে যায়। তাই কোনভাবেই কারো প্রতি দীর্ঘদিন ক্ষোভ পোষন করে রাখা ঠিক নয়। যেকোন উপায়ে হোক শুরুতেই মিটমাট করা উচিৎ। তবে ভালবাসার মানুষ, আপনজন বা বন্ধু আগের মত আচরন না করলে বা পূর্বের আচরণের থেকে পার্থক্য পরিলক্ষিত হলে, মনে মনে একপ্রকার ক্ষোভের সঞ্চার হয়।

সমাজে কিছু মানুষ দেখা যায় যারা উহ্যভাবে অর্থাৎ নাম প্রকাশ না করে অন্যকে আক্রমন করে কথা বলে। এতে সম্পর্ক ধীরে ধীরে দুর্বল হতে থাকে। উভয়পক্ষ যদি সংশোধনে এগিয়ে না আসে এতে ক্ষোভ স্ফীত হয়ে পরষ্পর শত্রুতে পরিনত হয়। অর্থাৎ একটি দৃড় সম্পর্ক দুর্বল হতে হতে উভয়ে অচেনা মানুষে পরিনত হয়।

নিয়মিত যোগাযোগ সম্পর্ককে শক্তিশালী করে। অন্যের প্রতি শ্রদ্ধা পোষন করা বা প্রদর্শন করলে পুঞ্জিভুত ক্ষোভও ভালবাসায় পরিনত হয়। প্রতিটি মানুষের তার স্বকীয়তা ও নিজস্বতার রয়েছে। সে তাকে এবং তার পরিবারকে ভালবাসে। তাই তাকে এমনকি তার পরিবারের কোন সদস্যের অমর্যাদা সে কখনো মেনে নিতে পারেনা যদি আক্রমনকারীর বক্তব্য সত্যিও হয়।

তাই কাউকে অমর্যাদা ও অশ্রদ্ধা করা কখনো উচিৎ নয়। আক্রমনকারী কখনো কারো ভালবাসার পাত্র হতে পারেনা। বরং সর্বজন ঘৃনিত হয়। অন্যকে হেয় করে কখনো বড় হওয়া যায় না। ভালবাসায় বড় করে তোলে মানুষকে সর্বাত্রে।