বাংলাদেশ এমন একটি দেশ যার পরতে পরতে রক্ত মিশে আছে। শত বছরের ইতিহাসে দেখা যায় সমকালীন নানান দাবি আদায়ে আন্দোলন-সংগ্রামে প্রাণ দিয়ে গেছে এই জনপথের জনতা। এক শ্রেনীর বর্জুয়াকে তাড়াতেই নতুন আরেক শ্রেনীর বর্জুয়ার উদয় হয়। বিক্ষুব্ধ অক্লান্ত এ জাতি সংগ্রামে থাকে অবিরত। 
ব্রিটিশের বিরুদ্ধে সংগ্রামে রক্ত ঝরেছে, তেভাগা আন্দোলনে, নীল বিদ্রোহে, সিপাহি বিদ্রোহে, বাঁশের কেল্লা, ফরায়জী আন্দোলন ও দেওবন্দ আন্দোলনে। পাকিস্তান আমলে আরেক শোষনের বিরুদ্ধে রক্ত ঝরেছে ভাষা আন্দোলনে, ছয়দফা আন্দোলন, এগারোদফা ছাত্র আন্দোলন,স্বায়ত্তশাসনের জন্য গনঅভ্যুত্থানে ও মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে। এই জনপথে রক্তক্ষরণ যেন শেষ হবার নয়! আবার শুরু হয় গণতন্ত্রের সংগ্রাম, ক্ষুদা নিবারনের সংগ্রাম, বহিঃরাষ্ট্রের অনধিকার চর্চায় সার্বভৌমত্বের সংগ্রাম, মৌলিক অধিকারের সংগ্রাম, দুর্নীতির বিরুদ্ধে সংগ্রাম, সামরিক বাহিনীর ও স্বৈরাচারের ক্ষমতা কুক্ষিগত করার বিরুদ্ধে আন্দোলন, গুমের বিরুদ্ধে আন্দোলন, স্বচ্ছ নির্বাচন ব্যবস্থার জন্য আন্দোলন, ন্যায়বিচারের জন্য আন্দোলন, বৈষম্যে নিগৃহীত হবার বিরুদ্ধে আন্দোলন ইত্যাদি কত-শত আন্দোলনে বয়ে চলেছে রক্তের স্রোতধারা এ ভুমিতে। সরকার যায় সরকার আসে। সেবার নামে এসে শাষকে পরিনত হয়। রুষ্ট জনগন বিরক্তের সাথে কল্পনা করে- এদের তুলনায় পূর্বের সরকার কিঞ্চিৎ কম খারাপ ছিল বটে। আবার পরিবর্তনের জন্য আন্দোলনে জেগে উঠে টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া। আগমনী সরকার কী পরিবর্তন আনবে নিম্নের সমস্যাগুলোতে!!!

- গনতান্ত্রিক সংবিধান সংশোধন!
- ভোটার আইডি ও পিন নাম্বার দিয়ে অবাধ ভোটের ব্যবস্থা, (শিক্ষিত ও নিরক্ষর ভোটের ভেল্যু নির্ধারণ)!
- বিদেশি চুক্তি প্রকাশ!
- স্বাধীন সংবাদ মাধ্যম! অবাদ সমালোচনার পরিবেশ, তা সমাধানে মূল্যায়ন।
- দুর্নীতির জন্য সর্বোচ্চ শাস্তি!
- স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা!
- জবাবদিহিতার প্রশাসন!
- জনগনের যকোন পর্যায়ে হয়রানি রোধে অভিযোগ নাম্বার ও বাক্স রাখা, এতে তড়িৎ ব্যাবস্থা!
- কর্মকর্তার ব্যর্থতায় পদত্যাগ বা বহিষ্কার!
- অ্যারেস্টের সময় জুডিশিয়ালের উপস্থতি ও সাথে সাথে আদালতে চালান!
- বাজার ও বিশুদ্ধ খাবার নিয়ন্ত্রণ!
- সৎ প্রশাসন গঠনে স্পেশাল কোর্ট, অডিট, মোবাইল কোর্টসহ নানা ব্যবস্থা নেয়া!
- ছোট অসততার জন্য বড় ফাইন/জরিমানা করা এবং যেকোন নির্দেশ পালনে দেরি করলে প্রতিদিন প্রতি জরিমানার ব্যবস্থাকরণ!
- সর্বক্ষেত্রে ডিজিটাল পেমেন্ট করে ঘুসের সুযোগ বন্ধ করা! (ঘুস বন্ধে প্রশাসনে সিআইডি তৎপরতা)
- সকল ক্ষেত্রে তদবির/দালালি বন্ধ করা!
- প্রবাসী মিশনগুলোতে প্রতি মাসের অর্জন ব্যাখ্যা করা! (কি পণ্য এক্সপোর্ট করা যায়, কি কি নিয়ম দেশে অনুকরণ করা যায়, কিসে স্কিল বাড়ালে শ্রমশক্তি বাড়বে, রাস্ট্রীয় সহযোগীতা চুক্তি ইত্যাদি)
- কৃষিকাজে সরকারী উদ্যেগে মেশিনারী ক্রয় করে স্বল্প দামে ভাড়া দেয়!
- উন্নত দেশের নগরায়ন অনুকরনে বজ্য ব্যবস্থাপনা, বিদ্যুৎ, পয়োনিষ্কাশন করা!
- জনপ্রতিনিধির কর্মস্থলে দলীয় লোক বা দলের কার্যক্রম বন্ধ করা! (স্বজনপ্রীতি বন্ধ করা)
- ইংরেজি, আইটি শিক্ষা, দেশপ্রেম (বীর সেনাদের গল্প), নৈতিক শিক্ষা ও যেকোন একটি পেশাগত দক্ষতার শিক্ষা বাধ্যকরণ!
- প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা বাধ্যকরণ ও বিদেশি প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি করা!
- সর্বক্ষেত্রে সেইফটি ইস্যু বাধ্যকরণ!
- যে কারো ন্যয্য দাবি বিশ্লেষণ করে মেনে নেয়া!
- ইনডোর ব্যবস্থায় রাজনৈতিক বা ধর্মীয় কার্যক্রম, প্রয়োজনে স্থায়ী নিদ্ধিষ্ট স্থান ডে়ভেলপকরণ!
- যত্রতত্র মাইকের ব্যবহার ও ডেসিবল সীমিতকরণ!
- প্রধান প্রধান খাদ্য, শিশুখাদ্য, কৃষজ দ্রব্যে, রোগের টেস্ট, অপারেশনের দাম নির্ধারন করা!
- ক্লিনিকের মাতৃ ডেলিভারির স্বেচ্ছাচারিতা বন্ধকরণ!
- আমদানি পন্যের ইনভেন্টরি করে মজুতের হিসাব নেয়া ও ১০% লাভে দাম বেঁধে দেয়া।
- উন্নয়ন কাজের মানে ত্রুটি বন্ধে ইঞ্জিনিয়ার ও ঠিকাদারকে দায়ী রেখে (৫-১০ বছর) মেয়াদী চুক্তি করা! (তারা প্রকল্পের অর্থের প্রতি দায়বদ্ধ থাকবে)
- নাগরিকের যেকোন সময়ে ও যেকোনো সমস্যায় পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে জরিমানা ও যথাযথ ব্যবস্থা নিবে!
- কৃষকের ফসল বিক্রির বাজার অনুযায়ী নির্ধারন, প্রয়োজনে এতে প্রদান ভর্তুকি!
- প্রাইভেট সেক্টরের সকল পোষ্টের নূন্যতম বেতন নির্ধারন, এবং প্রতি মাসের বেতন প্রদানের রশিদ মন্ত্রনালয়কে অবহিতকরণ!
- বাড়ি ও দোকান ভাড়ার স্বেচ্ছাচারিতা বন্ধে সঠিক দাম নির্ধারন (চুক্তিতে সরকার একটি পক্ষ হবে)!
- পুরাতন কলকারখানাতে আধুনিক যন্ত্রে প্রতিস্থাপন করা!
- স্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও খাবার নিশ্চিতকরণ! (রেস্টুরেন্ট অভিযান)
- সরকারী বাস ও ট্রেনে কার্ড পাঞ্জ সিস্টেম করে দুর্নীতি রোধকরণ!
................................................প্রভৃতি।