প্রকৃতিগতভাবে মানুষ স্বার্থপর। একই মায়ের পেটের ভাইবোনের সাথে সম্পদের বেলায় আমরা এতটুকু কেউ ছাড় দিইনা। ভাইয়ের সন্তানটিকে নিজের সন্তানের মত ভালবাসতে পারিনা। রক্তের সস্পর্কের বাইরের মানুষকে কিভাবে আপন ভাবব? তাই বলে কি পরিবারের বাইরে, প্রতিবেশী, সমাজ, সর্বপরি রাস্ট্রের সবাইকে কি ভালবাসবনা?

হ্যা সবাইকে ভালবাসতে হবে। সবাইকে ভালবাসার মত উদার হৃদয়বান হতে হবে। ভালবাসাই প্রশান্তি আনে অন্তরে ও বাহিরে। ভালবাসা দ্বারা কঠিন আরাধ্যকেও জয় করা সম্ভব। ভালবাসলে শত্রুর হাতে অস্রের বদলে ফুল শোভা পাবে। যেকোন মহামারি ও দুর্বিক্ষ সহজেই মোকাবেলা করা যাবে। মনীষীর ভাষায়- একতাই বল। এককে দুর্বল। তাই অজেয়কে জয় করতে ভালবাসার বিকল্প নেই। একমাত্র ভালবাসাই কাল্পনিক স্বর্গ বাস্তবে রূপায়ন করা সম্ভব। অপরের শ্রদ্ধা ও ভালবাসাই পারে যুদ্ধ, নিগ্রহ থেকে মুক্তি দিতে।

স্বল্পকালের জীবন আমাদের। দেখতে দেখতে বুড়িয়ে যাই। হিংসা ও স্বার্থপরতা করে মানুষের কাছে নিকৃষ্ট হয়ে থাকার নেই সার্থকতা। অপরকে আঘাত করে হীন চরিতার্থ করাতে বাহাদুরি নেই। পরার্থপরতাই পারে ছোট্ট জীবনকে দির্ঘায়ীত করে মানুষের মাঝে অমর করে তুলতে। দল, জাত, বর্ণ, ধর্ম, মতাদর্শ, শ্রেনী বৈষম্য অকল্যান বই কল্যান আনতে পারেনা। একমাত্র মানুষে মানুষ, সমাজে সমাজে, রাস্ট্রে রাস্ট্রের মাঝে ভালবাসা ও শ্রদ্ধার নিবিড় সম্পর্ক একটি স্বর্গীয় বাস্তবতা আনায়ন করতে পারে।

সবাই যদি করি শুধু দিবার প্রতিযোগীতা, 
যদি নাহি করে নিবার বাসনা।
তবে স্বর্গের স্বপ্ন তোমার নাহি প্রয়োজন,
স্বর্গই হবে ইহাতে রচনা।
অপরকে যদি ভালবাস তব,
কর শ্রদ্ধা তাহার অভিমত।
গলায় গলায় মিলিবে মম,
কিছুই রইবেনা অজেয়,
বেদনা আসুক যত সম পর্বত।