প্রকৃতি যেমন ক্ষণিকে রূপান্তরিত হয়- এই প্রখর রোদ, মুহুর্তেই আকাশ কালো মেঘে আচ্ছন্ন। ঠিক তেমনি মানুষের দেহের অভ্যান্তরে ছোঁয়াহীন মনটি মুহূর্তেই উচ্ছল ও চাঙা, আবার ক্ষানিক পরে বিলীন হয়ে হয় মলিন। কিছু পেতে যাচ্ছি এ আশায় মন রোদের মত জ্বলজ্বল, আবার না অর্জনের কারণে হতাশার কালো মেঘে ঢাকে সে মন। প্রকৃতি যেমন তার খেলাকে পৃথিবী নামক দেহে আলোড়িত করে দৃশ্যমান হয়। তেমনি মনের উথাল-পাতাল খেলায় আমাদের দেহকে আলোড়িত করে যা অন্যের চোখে দৃশ্যমান হয়। ইহা শরীরতন্ত্রের অন্তঃস্থল নিয়ন্ত্রণ করে হাসি-হতাশার খেলা দ্বারা। যা রক্তপ্রবাহ ধীর-ধ্রুতি করে, হরমোন-এনজাইম নিঃসরণ করে। হৃদয়-শ্বসনযন্ত্র নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা নিয়ে নেয় অদৃশ্য মন। শরীরের কোষ-ঝিল্লিগুলো অচল-সচল করে। প্রকারান্তরে রোগ-নিরোগের কারবার করে সে। হায়াত-মওতের সময়সীমা নির্ধারিত হয় অবশেষে। যেমনটি প্রকৃতি পৃথিবীতে ধ্বংসলীলা চালায় ঋতুর আবর্তে। ঋতু ও মনের মাঝে সাদৃশ্য রয়েছে যা অদৃশ্য থেকে নাটাই নেড়ে মুখ্য ভুমিকা পালন করে।